ধ্বংসের দিনে ২৫ শে বৈশাখ:
যখন এ লেখা লিখছি। দেশের সব পুলিশ, মিলিটারি, বন্দুকবাজ, দেশভক্ত, বন্যপ্রাণী প্রেমী নেমে পড়েছে, বন থেকে বনের আসল মালিক আর আদিবাসী দের তাড়াতে। আর গাছ কাটা সেটা তো মুনাফার অঙ্গ। গোটা উত্তর বঙ্গ উজার হয়ে গেল। যশোর রোডের গাছ গুলো শেষ লড়াই দিচ্ছে। সাদা চামড়ারা এতোটা পারেনি, শুরুটা ওরাই করে ছিল। বাদামী সাহেবরা সব হরন করতে চায়। কেন্দুপাতার জন্য গুলি করে দেশের মানুষ মারে। এরাই আবার জনগন মন বলে দাঁড়িয়ে ওঠে। আজ ২৫ শে বৈশাখ। এই স্বাধীন দেশকে, যারা তাঁরই লেখা ও গাওয়া গান কে জাতীয় সঙ্গীত করে জাতীয় পতাকা নিয়ে লেফ্ট রাইট করতে করতে মানুষ মারে আর দেশের সব সম্পদ মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে বেঁচে দেয়, দেশের জল হাওয়া একটু একটু করে বিষিয়ে দেয়, তাদের দেখে কি বলতেন গুরুদেব, “হে মোর দূর্ভাগা দেশ” তো লেখা হয়ে গেছে সেই কবে!!! রাবীন্দ্রিক কুলি বাঙ্গালী এখন এই মহা আয়োজনের অঙ্গ। কবিগুরু অস্তাচলে গেছেন অনেকদিন। চিরতরে।
ভাবি, রবী ঠাকুর কে সহ্য কেন করেছিল শিক্ষিত, হিন্দু, পশ্চিমবঙ্গীয় বাঙ্গালীর বড় অংশ। স্বাধীনতা উত্তর, বিশেষ করে কপিরাইট পরবর্তী কালে? আত্যস্থ তো কোন দিন ও করে নি। পরে মনে হলো, আরে আমাদের নবেল জয়ী কবি আছে, আমাদের শান্তিনিকেতন আছে, এসব বলতে পারা ও গল্প করার আছে, রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে মাসেল ফোলানো আছে, ব্যবসা করার আছে। আর শেষে পাঁচিলে ঘেরা শান্তিনিকেতন রাবীন্দ্রিক বালিগঞ্জ হয়ে যায়। সাঁওতাল গ্রাম গুলো দুরে অন্ধকারে পড়ে থাকে। শনিবারের হাটে শহরের বাবুরা শিহরিত হন। রবীন্দ্র প্রিয় রমনী কলকাতায় ফিরে আমার তো শান্তিনিকেতন কি ভাল যে লাগে বলেন, কেউ বলেন, ও কি “কুল” জায়গা বল। অবক্ষয়ে সাঁওতালরা আর ততটা সাঁওতাল থাকেনও না। তাও এখন ও কিছু যুবক যুবতী গাছ হত্যার প্রতিবাদী হয়, লাভ রেন্টি রেপিন #আমিগাছ হন, আর রবীন্দ্র প্রিয় মুখ্য মন্ত্রী পাঁচিলে ঢাকা ক্যাম্পাসে মাওবাদী খোঁজেন।